Driving Licence

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ 🚗

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আবেদন ফরম পূরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফি, ও পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এখনই জেনে নিন সহজ ও দ্রুত উপায়!

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ 

ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা আপনাকে আইনত সড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। আজ আমরা ২০২৫ সালের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫

 

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন প্রয়োজন? 

ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধু আইন মানার জন্য নয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্রও। এর মাধ্যমে আপনি প্রমাণ করতে পারেন যে আপনি গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সড়ক আইন সম্পর্কে সচেতন। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতিও মেলে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ 

ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে:

  1. লার্নার লাইসেন্স (শিক্ষানবিশ লাইসেন্স)
    এটি একজন নতুন ড্রাইভারকে প্রদান করা হয়, যিনি এখনও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
  2. পার্মানেন্ট লাইসেন্স (স্থায়ী লাইসেন্স)
    এটি সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত টাকা

 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ 

২০২৫ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়াটি আরও সহজ এবং ডিজিটাল করা হয়েছে। নিচে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. লার্নার লাইসেন্সের আবেদন 

লার্নার লাইসেন্স ছাড়া আপনি পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। প্রথমে লার্নার লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে:

যোগ্যতা:

  • বয়স: মোটরসাইকেলের জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং প্রাইভেট কারের জন্য ২১ বছর।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • দুটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • আবেদন ফরম পূরণ।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ।

আবেদন প্রক্রিয়া:

  • অনলাইনে BRTA এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করুন।
  • আবেদন ফি প্রদান করুন।
  • আবেদন জমা দেওয়ার পরে আপনাকে একটি নির্ধারিত দিনে মৌখিক এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে।

পরীক্ষা:

  • মৌখিক পরীক্ষায় সড়ক আইন এবং চিহ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
  • লিখিত পরীক্ষায় প্রাথমিক ড্রাইভিং জ্ঞান যাচাই করা হয়।

২. পার্মানেন্ট লাইসেন্সের আবেদন 

লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার ৩ মাস পরে আপনি স্থায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্থায়ী লাইসেন্স পেতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • লার্নার লাইসেন্সের কপি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ।
  • চার কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং পরীক্ষা:

  • থিওরি পরীক্ষা: সড়ক চিহ্ন, আইন, এবং ড্রাইভিং নিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
  • প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা: গাড়ি চালানোর দক্ষতা পরীক্ষা করা হয়।
  • পরীক্ষায় পাস করার পরে আপনাকে একটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

অনলাইনে আবেদন:

  • BRTA এর ওয়েবসাইটে গিয়ে পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য ফরম পূরণ করুন।
  • আবেদন ফি পরিশোধ করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।

আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স আসতে কত দিন লাগে

 

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করতে হয়। ২০২৫ সালে নবায়ন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে।

১. অনলাইনে আবেদন

BRTA এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নবায়নের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • পুরাতন লাইসেন্স।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদ।

৩. ফি প্রদান

নির্ধারিত ফি অনলাইনে প্রদান করতে হবে।

৪. বায়োমেট্রিক 

নবায়নের জন্য নতুন ছবি এবং আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার সময় সচেতনতা 

ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ:

  1. সঠিক তথ্য প্রদান করুন।
  2. সড়ক আইন সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  3. অনলাইনে আবেদন করার আগে সমস্ত নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ুন।

 

প্রাসঙ্গিক প্রশ্নোত্তর (FAQs) 

প্রশ্ন ১: কতদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়?
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সাধারণত ২-৩ মাস সময় লাগে।

প্রশ্ন ২: ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত?
২০২৫ সালে লার্নার লাইসেন্সের ফি প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা এবং পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য ২০০০-৩০০০ টাকা।

প্রশ্ন ৩: ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার উপায় কী?
BRTA এর ওয়েবসাইটে গিয়ে লাইসেন্স নম্বর দিয়ে চেক করা যায়।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫

 

উপসংহার

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ধৈর্য ও সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৫ সালের আধুনিক এবং সহজলভ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদনকারীরা দ্রুত এবং সহজে লাইসেন্স পেতে পারবেন। তাই দেরি না করে আজই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন। নিরাপদে গাড়ি চালান এবং সড়ক আইন মেনে চলুন!

Author R.S Driving School 2

আর. এস ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার ২ || দক্ষ ড্রাইভার তৈরিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইলঃ ০১৬৭৫-৫৬৫ ২২২ অফিস ঠিকানাঃ হাউজ-১৫৪/এ, রোড-০২, ব্লক-এ, সেকশন-১২, পল্লবী মিরপুর ঢাকা-১২১৬।

Share
Published by
Author R.S Driving School 2

Recent Posts

কারে একাধিক এয়ার ব্যাগ থাকার উপকারিতা – নিরাপত্তার আধুনিক দিক ও কেন আপনার গাড়িতে এটি থাকা উচিত Best

কারে একাধিক এয়ার ব্যাগ থাকার উপকারিতা বর্তমান যুগে গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক উন্নত…

16 hours ago

কার এয়ার ব্যাগ মেরামতের খরচ কত? | বিস্তারিত গাইড ২০২৫ Best tips

বর্তমান যুগে নিরাপদ গাড়ি চলাচলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হচ্ছে এয়ার ব্যাগ। এটি যেকোনো গাড়ির দুর্ঘটনার…

2 days ago

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া ঠেকাতে করণীয় | Best Guide 2025

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া ঠেকাতে করণীয়: গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা, যা এড়াতে…

4 days ago

গিয়ার বক্স কী ও কীভাবে কাজ করে – বিস্তারিত ও সহজ ব্যাখ্যা ২০২৫ Best

গিয়ার বক্স কী ও কীভাবে কাজ করে, কত প্রকার, ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক গিয়ারের পার্থক্য এবং…

5 days ago

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া প্রতিরোধে কোন কোন সতর্কতা জরুরি | গাড়ির ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ Best Guide

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া প্রতিরোধে কোন কোন সতর্কতা জরুরি, ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ, চার্জিং নিয়ন্ত্রণ, এবং অন্যান্য…

6 days ago

বাংলাদেশে কারের জন্য সেরা এয়ার ব্যাগ ব্র্যান্ড / দাম, গুণমান ও পরামর্শ

বাংলাদেশে কারের জন্য সেরা এয়ার ব্যাগ ব্র্যান্ড, এই ব্লগে Autoliv, Takata, ZF TRW সহ শীর্ষ…

6 days ago