Driving Licence

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: পার্থক্য, নিয়ম ও আবেদন প্রক্রিয়া Best Guide 2025

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, এর মধ্যে পার্থক্য জানুন! কে কোন লাইসেন্স পেতে পারেন, কীভাবে আবেদন করবেন, এবং কোন লাইসেন্স আপনার জন্য ভালো হবে তা নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলাচনা করবো।

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাংলাদেশে গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স আবশ্যক। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই ধরনের হয়ে থাকে—পেশাদার এবং অপেশাদার। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য কী? কোন লাইসেন্স কাদের জন্য উপযুক্ত? কীভাবে আবেদন করবেন? এই নিবন্ধে আপনি পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল পার্থক্য, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত বাণিজ্যিক যানবাহন চালকদের জন্য নির্ধারিত। যেমন—বাস, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি, মালবাহী যানবাহন ইত্যাদি চালানোর জন্য পেশাদার লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। এটি পেতে হলে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও প্রশিক্ষণের শর্ত পূরণ করতে হয়।

অন্যদিকে, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণ জনগণের জন্য, যারা ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল বা ছোটখাট যানবাহন চালান। এটি তুলনামূলক সহজভাবে পাওয়া যায় এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি নেই।

আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান, তাহলে BRTA-এর নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। নিবন্ধটি পড়লে আপনি লাইসেন্সের ধরন, নবায়ন প্রক্রিয়া, ট্রাফিক আইন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

 

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যে পার্থক্য

বর্তমান সময়ে গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি অপরিহার্য নথি। বাংলাদেশে দুটি প্রধান ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ দুটি লাইসেন্সের মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মধ্যে পার্থক্য, তাদের যোগ্যতা, আবেদনের প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা পেশাগতভাবে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এটি মূলত বাস, ট্রাক, লরি, ট্যাক্সি এবং রাইড-শেয়ারিং পরিষেবাগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BRTA) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু নিয়ম ও শর্ত মানার পর এটি প্রদান করা হয়।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের পূর্বশর্ত হিসেবে ন্যূনতম ২০ বছর বয়স হতে হবে। আবেদনকারীকে একটি অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এই লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, যা আবেদনকারীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা যাচাই করতে সাহায্য করে।

লাইসেন্স গ্রহণের জন্য লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যেখানে ট্রাফিক আইন, সড়ক নিরাপত্তা ও গাড়ির প্রযুক্তিগত দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হয়। পেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত তিন বছর হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর এটি নবায়ন করতে হয়।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য। এটি সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এবং বাণিজ্যিক পরিবহনের জন্য এটি বৈধ নয়। বাংলাদেশে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই লাইসেন্সের জন্য আলাদা কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজন নেই, তবে গাড়ি চালানোর দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। এই পরীক্ষায় মূলত ট্রাফিক আইন, সড়ক চিহ্ন, নিরাপত্তা বিধি এবং গাড়ির বেসিক কন্ট্রোল সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত ১০ বছর হয়ে থাকে, যা পেশাদার লাইসেন্সের তুলনায় অনেক দীর্ঘমেয়াদী। নবায়ন করতে হলে শুধুমাত্র আবেদনপত্র জমা দিতে হয়, এবং নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না যদি আবেদনকারী শারীরিকভাবে সক্ষম হন।

 

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মধ্যে পার্থক্য

ব্যবহার: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত বাণিজ্যিক যানবাহন পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি, রাইড-শেয়ারিং সেবা এবং অন্যান্য পরিবহন পেশায় কাজ করতে হলে এই লাইসেন্স অপরিহার্য। অন্যদিকে, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যক্তিগত ব্যবহারের যানবাহনের জন্য উপযুক্ত। এর মাধ্যমে আপনি নিজস্ব গাড়ি চালাতে পারবেন, তবে অর্থ উপার্জনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে চালাতে পারবেন না।

বয়সসীমা ও যোগ্যতা: পেশাদার লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২০ বছর, যেখানে অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স যথেষ্ট। পেশাদার লাইসেন্সের জন্য অনুমোদিত ড্রাইভিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়, যা অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা: পেশাদার লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল পরীক্ষা, প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট এবং কঠোর লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে, অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য প্রশিক্ষণের বাধ্যবাধকতা নেই, তবে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়।

লাইসেন্স নবায়ন: পেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ৩ বছর, যা নবায়ন করতে হলে পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষা দিতে হয়। অন্যদিকে, অপেশাদার লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর, যা নবায়নের জন্য শুধু সাধারণ আবেদন করলেই হয়।

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

 

ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে BRTA বিভিন্ন নিয়ম ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ এবং জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে। নতুন লাইসেন্স গ্রহণ, হারানো লাইসেন্স পুনরুদ্ধার, বা লাইসেন্স নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হয়। ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং সঠিকভাবে গাড়ি চালানো জরুরি, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় এবং সড়ক নিরাপদ থাকে।

শেষ কথা

পেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা প্রত্যেক চালকের বোঝা উচিত। যদি আপনি বাণিজ্যিক গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে পেশাদার লাইসেন্স নেওয়া আবশ্যক। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর জন্য অপেশাদার লাইসেন্সই যথেষ্ট। উভয় ক্ষেত্রেই ট্রাফিক আইন মেনে চলা, নিরাপদ গাড়ি চালানো এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন: R.S Driving Training Centre 2 

Author R.S Driving School 2

আর. এস ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার ২ || দক্ষ ড্রাইভার তৈরিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইলঃ ০১৬৭৫-৫৬৫ ২২২ অফিস ঠিকানাঃ হাউজ-১৫৪/এ, রোড-০২, ব্লক-এ, সেকশন-১২, পল্লবী মিরপুর ঢাকা-১২১৬।

Share
Published by
Author R.S Driving School 2
Tags: BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনঅপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সট্রাফিক আইন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে নিবোড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৩ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট ফরমড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষাপেশাদার ও অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পার্থক্যপেশাদার ও অপেশাদার লাইসেন্সের পার্থক্যপেশাদার ড্রাইভার লাইসেন্সের বয়সসীমাপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগেবাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেনবাংলাদেশ ড্রাইভিং লাইসেন্সবাংলাদেশে গাড়ি চালানোর জন্য আইনি বয়সবাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সব্যক্তিগত ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন

Recent Posts

কারে একাধিক এয়ার ব্যাগ থাকার উপকারিতা – নিরাপত্তার আধুনিক দিক ও কেন আপনার গাড়িতে এটি থাকা উচিত Best

কারে একাধিক এয়ার ব্যাগ থাকার উপকারিতা বর্তমান যুগে গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক উন্নত…

1 day ago

কার এয়ার ব্যাগ মেরামতের খরচ কত? | বিস্তারিত গাইড ২০২৫ Best tips

বর্তমান যুগে নিরাপদ গাড়ি চলাচলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হচ্ছে এয়ার ব্যাগ। এটি যেকোনো গাড়ির দুর্ঘটনার…

2 days ago

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া ঠেকাতে করণীয় | Best Guide 2025

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া ঠেকাতে করণীয়: গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা, যা এড়াতে…

4 days ago

গিয়ার বক্স কী ও কীভাবে কাজ করে – বিস্তারিত ও সহজ ব্যাখ্যা ২০২৫ Best

গিয়ার বক্স কী ও কীভাবে কাজ করে, কত প্রকার, ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক গিয়ারের পার্থক্য এবং…

5 days ago

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া প্রতিরোধে কোন কোন সতর্কতা জরুরি | গাড়ির ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ Best Guide

গাড়ির ব্যাটারি ফুলে যাওয়া প্রতিরোধে কোন কোন সতর্কতা জরুরি, ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ, চার্জিং নিয়ন্ত্রণ, এবং অন্যান্য…

6 days ago

বাংলাদেশে কারের জন্য সেরা এয়ার ব্যাগ ব্র্যান্ড / দাম, গুণমান ও পরামর্শ

বাংলাদেশে কারের জন্য সেরা এয়ার ব্যাগ ব্র্যান্ড, এই ব্লগে Autoliv, Takata, ZF TRW সহ শীর্ষ…

7 days ago