রমজান মাসের ফজিলত ও বিশেষ আমল
রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানুন! রমজান মাসের বিশেষ গুরুত্ব, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের ফজিলতসহ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও আমল সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।
রমজান মাস ইসলামের পবিত্রতম ও কল্যাণময় মাসগুলোর একটি। এই মাসে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়। মুসলমানদের জন্য এই মাস আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও তাকওয়ার অন্যতম মাধ্যম। রমজান মাসে কোরআন নাজিল হওয়ার কারণে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। তাই এই মাসে আমাদের ইবাদত-বন্দেগিতে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।
১. কুরআন নাজিলের মাস: রমজান মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। এটি আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের জীবনের পাথেয়।
২. গুনাহ মাফের সুযোগ: হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
৩. জান্নাতের দরজা খোলা হয়: নবী (সা.) বলেছেন, রমজান মাস শুরু হলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হয়, আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহিহ বুখারি, ১৮৯৯)
৪. লাইলাতুল কদরের বরকত: রমজানের শেষ দশকের একটি রাত লাইলাতুল কদর হিসেবে নির্ধারিত, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
আরও পড়ুন: মাহে রমজানের ফজিলত, গুরুত্ব ও তাৎপর্য
রমজান মাসে আমাদের উচিত বেশি বেশি নেক আমল করা। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল দেওয়া হলো:
১. রোজা রাখা: রমজানের অন্যতম প্রধান আমল হলো রোজা রাখা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা রোজার মূল উদ্দেশ্য।
২. কুরআন তিলাওয়াত: রমজান কুরআন নাজিলের মাস। তাই এই মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় কুরআন পাঠ করা এবং তার অর্থ বুঝে আমল করা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. তারাবিহ নামাজ: তারাবিহ নামাজ রমজানের বিশেষ একটি নামাজ। রাসূল (সা.) নিজে এটি পড়তেন এবং সাহাবিদেরও পড়তে উৎসাহিত করতেন।
৪. দোয়া ও ইস্তিগফার: রমজান দোয়া কবুলের মাস। এই মাসে বেশি বেশি দোয়া, তাওবা ও ইস্তিগফার করা উচিত। বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদতে মশগুল থাকা উত্তম।
৫. দান-সদকা ও জাকাত: রমজান মাসে দান-সদকার গুরুত্ব অনেক বেশি। রাসূল (সা.) বলেছেন, রমজানে দান-সদকা করলে আল্লাহ অধিক সওয়াব দান করেন। তাই দরিদ্রদের সহযোগিতা করা এবং জাকাত প্রদান করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
৬. ইফতার করানো: হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। (তিরমিজি, ৮০৭)
৭. তাকওয়া অর্জন: রমজানের মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। তাই এই মাসে আমাদের উচিত মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা, হিংসা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা।
রমজানের শেষ দশ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে বিশেষ কিছু আমল করা উচিত:
১. ইতিকাফ: রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নত। এটি আত্মশুদ্ধির অন্যতম উপায়। ২. লাইলাতুল কদরের ইবাদত: শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে ইবাদতে রত থাকা উচিত। ৩. বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তিগফার: আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: মহিলাদের গাড়ি চালানো কি ইসলাম ধর্মমতে নিষেধ
রমজানের ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর উপহার দিয়েছেন। ঈদের দিন গরিব-দুঃখীদের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব।
রমজান মাস আমাদের জন্য অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সুযোগ এনে দেয়। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করা, গুনাহ থেকে বাঁচা এবং দান-সদকা করা আমাদের উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের ফজিলত ও বরকত অর্জনের তৌফিক দান করুন, আমিন।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) হলো নতুন চালকদের জন্য গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র, যা মূল ড্রাইভিং…
অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া Wholesale Business Ideas with Small Capital অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা…
Manufacturing business উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করা এখন সহজ এবং লাভজনক! মাত্র ৫০০০ টাকা…
অল্প পুঁজিতে ১০টি সেরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া। আপনি যদি কম পুঁজিতে একটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসা…
সেহরির শেষ সময় কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? সুবহে সাদিক, ফজরের আজান ও ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী…
আপনি কি কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চান? জানুন২০ হাজার টাকায় ২৫ টি লাভজনক ব্যবসার…