শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম 2025 | Driving License

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) হলো নতুন চালকদের জন্য গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র, যা মূল ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রথম ধাপ। বাংলাদেশে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্ত পূরণ করতে হয়। BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়ায় অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা, ফি পরিশোধ এবং মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স সংগ্রহ করা যায়।

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম

`

শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয় এবং এর পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন বা পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। লাইসেন্স হারিয়ে গেলে নতুন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করা সম্ভব। এই নিবন্ধে শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের আবেদন পদ্ধতি, ফি, পরীক্ষা, নবায়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। সঠিকভাবে আবেদন করে বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন এবং নিরাপদ গাড়ি চালান।

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম

(Driving License) শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একটি অস্থায়ী লাইসেন্স যা নতুন চালকদের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য প্রদান করা হয়। এটি মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। নতুন চালকদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গাড়ি চালানোর মৌলিক নিয়মকানুন শেখার সুযোগ দেয় এবং রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

শিক্ষানবিশ লাইসেন্সধারীদের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়, যেমন:

  • একা গাড়ি চালানো যাবে না, একজন অভিজ্ঞ চালকের উপস্থিতি থাকতে হবে।
  • ট্রাফিক আইন এবং নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময় পরে মূল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভুল সংশোধনের নিয়ম ২০২৫

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়। এগুলো নিম্নরূপ:

  1. বয়স সংক্রান্ত শর্ত: শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। তবে, যদি কেউ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চায়, তাহলে তার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর। এটি নিশ্চিত করে যে আবেদনকারী যথেষ্ট পরিপক্ক ও দায়িত্বশীল।
  2. শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা: গাড়ি চালানোর জন্য আবেদনকারীর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হতে হবে এবং অন্যান্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে তা গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
  3.  শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস করা থাকতে হবে। কারণ একজন চালককে রাস্তার চিহ্ন এবং ট্রাফিক আইন বুঝতে হবে, যা নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাগত দক্ষতা ছাড়া সম্ভব নয়।
  4. বৈধ পরিচয়পত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম সনদ থাকতে হবে। এটি আবেদনকারীর নাগরিকত্ব এবং বয়স যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয়।

 

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের (Driving License) জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো হল:

  1. পূরণকৃত আবেদন ফরম: এটি BRTA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে অথবা নির্দিষ্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে। যথাযথ তথ্য পূরণ করা আবশ্যক।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ: আবেদনকারীর পরিচয় ও বয়স যাচাই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  3. চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি: এটি লাইসেন্স কার্ডে ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়।
  4. নির্ধারিত ফি জমাদানের রসিদ: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হয়, যা আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
  5. মেডিকেল সার্টিফিকেট: চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং শারীরিক সুস্থতা যাচাই করতে একজন অনুমোদিত চিকিৎসকের কাছ থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

 

আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্সের বয়স কত লাগে

 

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন পদ্ধতি

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার ধাপসমূহ নিম্নরূপ:

১. অনলাইনে আবেদন করুন: বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BRTA) অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। আবেদন করতে হলে:

  • BRTA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • নির্দিষ্ট ফরমটি পূরণ করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন।
  • আবেদন ফি পরিশোধ করুন।

২. নির্ধারিত কার্যালয়ে উপস্থিত হন: অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হলে নির্ধারিত BRTA অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে। এখানে ছবি তোলা ও স্বাক্ষর নেওয়া হবে।

৩. মেডিকেল পরীক্ষা দিন: আবেদনকারীর চোখের দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

৪. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিন: BRTA নির্ধারিত একটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিতে পারে। এখানে ট্রাফিক আইন ও সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

৫. লাইসেন্স সংগ্রহ করুন: সব ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন

  • সাধারণত শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পূর্ণাঙ্গ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
  • নির্ধারিত সময়ে নবায়ন না করলে নতুন করে আবেদন করতে হতে পারে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম

 

 

 

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীরা একা গাড়ি চালাতে পারবেন না, অভিজ্ঞ চালকের সহায়তা নিতে হবে।
  • ট্রাফিক আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
  • লাইসেন্স হারিয়ে গেলে পুনরায় আবেদন করা যাবে।

 

 

উপসংহার

শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হল ড্রাইভিং দক্ষতা অর্জনের প্রথম ধাপ। এটি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত নিয়ম ও শর্তাবলী মেনে চলতে হয়। আইন মেনে গাড়ি চালানো এবং যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাই একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল চালক হওয়ার মূল চাবিকাঠি। (Driving License)

আর. এস ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার ২ || দক্ষ ড্রাইভার তৈরিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোবাইলঃ ০১৬৭৫-৫৬৫ ২২২ অফিস ঠিকানাঃ হাউজ-১৫৪/এ, রোড-০২, ব্লক-এ, সেকশন-১২, পল্লবী মিরপুর ঢাকা-১২১৬।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment

01675565222