বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত ২০২৩ , ২০২৪| 💛🌿🌴| Best Update 24

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত ২০২৩, ২০২৪? বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ২০২৩, ২০২৪ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়বস্তু। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই যে, বেকারত্বের হার বিভিন্ন কারনে পরিবর্তনশীল এবং এটির উপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নীতি নির্ধারকদের পদক্ষেপের প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত ২০২৩, ২০২৪

বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু বেকারত্বের হার একটি চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে বর্তমানে যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা

বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু বেকারত্বের হার একটি চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে বর্তমানে যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। বিশ্বব্যাংকআইএলও (International Labour Organization) এর মতে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ৫.৩%। ২০২৪ সালে এটি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ

বেকারত্বের একটি প্রধান কারণ হল যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (TVET) এর অভাবের কারনে যুবকরা কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত নয়। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকে যা কর্মসংস্থানের জন্য পর্যাপ্ত নয়। প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং বৃদ্ধি পেলে বেকারত্বের হার কমানো সম্ভব।

শিল্প ও কর্মসংস্থান

বাংলাদেশের প্রধান শিল্পগুলির মধ্যে গার্মেন্টস, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান প্রদানকারী খাত। কিন্তু, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে গার্মেন্টস শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আইসিটি (Information and Communication Technology) খাতেও উন্নতির সুযোগ রয়েছে, যা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

সরকারের পদক্ষেপ

সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বেকারত্ব হ্রাস করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (SME Foundation) এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া, স্টার্টআপউদ্যোক্তা উন্নয়ন এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বেকারত্ব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে তরুণরা কর্মসংস্থান পেতে পারে। আইসিটি খাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, যা তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।

মহিলা কর্মসংস্থান

বাংলাদেশে মহিলাদের বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং মাইক্রোফাইন্যান্স এর মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রম রফতানি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মসংস্থান পেয়ে থাকে। তবে, ভিসা ও শ্রম আইন এর পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ

বেকারত্ব হ্রাস করতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। উদ্ভাবনী শিল্প, ই-কমার্স, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পর্যটন খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এছাড়া, টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

বেকারত্বের সামাজিক প্রভাব

বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেলে সামাজিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়। দারিদ্র্য, অপরাধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এর প্রধান উদাহরণ। তাই, বেকারত্ব হ্রাস করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Read More:

 

উপসংহার

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ২০২৪ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করা সম্ভব। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং সরকারের পদক্ষেপ এর মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।

 

বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কত ২০২৩

বাংলাদেশের বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কত ছিল এবং এর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি

২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা পুনরুদ্ধারের পথে ছিল, তবে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর পরবর্তী প্রভাব এখনও বিদ্যমান ছিল। বিশ্বব্যাংক এবং আইএলও (International Labour Organization) এর মতে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ৫.৩%। এই হারটি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল, যা অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন

বেকারত্বের একটি প্রধান কারণ হল দক্ষতা ও শিক্ষার অভাব। বাংলাদেশে তরুণ সমাজের জন্য কারিগরি শিক্ষা এবং ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ এর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত বেশি। অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকে, যা কর্মসংস্থানের জন্য পর্যাপ্ত নয়। টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের উন্নয়ন বেকারত্ব কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 

আরো পড়ুন:

শিল্প খাত ও কর্মসংস্থান

বাংলাদেশের প্রধান শিল্প খাতগুলির মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প, কৃষি এবং তথ্যপ্রযুক্তি রয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান প্রদানকারী খাত হলেও, বৈশ্বিক মহামারির প্রভাবের কারণে ২০২৩ সালে এই খাতে চাহিদা কমে গিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি খাত নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা তরুণ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারের পদক্ষেপ

সরকার বেকারত্ব হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন এর মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বেকারত্ব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে তরুণরা কর্মসংস্থান পেতে পারে। আইসিটি খাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে, যা তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।

মহিলা কর্মসংস্থান

বাংলাদেশে মহিলাদের বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং মাইক্রোফাইন্যান্স এর মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে শ্রম রফতানি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মসংস্থান পেয়ে থাকে। তবে, ভিসা ও শ্রম আইন এর পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ

বেকারত্ব হ্রাস করতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। উদ্ভাবনী শিল্প, ই-কমার্স, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পর্যটন খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এছাড়া, টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

বেকারত্বের সামাজিক প্রভাব

বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেলে সামাজিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়। দারিদ্র্য, অপরাধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এর প্রধান উদাহরণ। তাই, বেকারত্ব হ্রাস করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

উপসংহার

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ২০২৩ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করা সম্ভব। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং সরকারের পদক্ষেপ এর মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত

 

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত , বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২০২৩, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা কত ২০২৪, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কত ২০২২, বেকারত্বের হার ২০২৩,
বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত 2023, বেকারত্বের হার ২০২৪, বেকারত্বের হার কি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্প ও কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ,

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *